রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

সীমান্তের নীলাঞ্জনা 

পর্ব ১
পরিচয় 

প্রতিবারের মত এইবার ও টেন্ডার পাওয়ার পর খুশি শেয়ার করার জন্য কাউকে না পেয়ে নিজ গাড়ি নিয়ে সাথে কিছু হার্ড ড্রিঙ্কস এর বোতল নিয়ে লং ড্রাইভে যেতে শুরু করলো সীমান্ত। গন্তব্য জানা নেই , তবে যাচ্ছে ঢাকা - মাওয়া হাইওয়ের পথ ধরে। রাত আনুমানিক ২.০০ হবে, গাড়ি আশুলিয়া ক্রস করে একটি নীরব জায়গা দিয়ে যাচ্ছে , প্রচন্ড রকমের বৃষ্টি হচ্ছিলো, হটাৎ করে ভুতের মতো সাদা সাড়িতে মোড়ানো ৫ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা একটা ফর্সা মেয়ে গাড়ির সামনে আসে দাঁড়িয়ে গেলো , বারংবার হর্ন বাজাতে বাজাতে এবং প্রচন্ড হার্ড ব্রেক করে গাড়িটা একেবারে তার সামনে এসে থামলো। এত রাত, প্রচণ্ড বৃষ্টি, চারপাশে কেউ নেই, ভূত-পেত্নী নয়ত, এর মধ্যে নেশা ও কিছুটা পেয়ে বসেছে। কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে গাড়িতে বসে রইলো সীমান্ত, মেয়েটিও নাছোড় বান্দার মতো দাঁড়িয়ে রইল।  আইভৱে কিছুক্ষণ থাকার পর অনেকটা রাগান্নিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো সীমান্ত, মেয়েটি কিছু বলে ওঠার আগেই গালে কোষে একটা চর বসিয়ে দিল।  

  
সীমান্ত : দেশে এত গাড়ি থাকতে আমার গাড়িটি বেছে নিলেন মরার জন্য। আর কোনো গাড়ি পাওয়া গেল না।

মেয়ে : চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো কথা বলছে না। 

সীমান্ত : hello . আমি আপনাকে বলছি , শুনতে পাচ্ছেন।  বাড়ি কোথায় ? এত রাত এ রাস্তায় কি করছেন? 

মেয়ে : এখনও নিস্তব্ধের মতো দাঁড়িয়ে আছে।  কিছুই বলছে না।

সীমান্ত : আহা। আচ্ছা বিপদে পড়লাম তো দেখছি, কোথায় যাবেন? ঠিকানা মনে নেই, নাকি কথা বলতে পারেন না। 

মেয়ে : ঠিকানা বললে কথা বলতেন না। আর এতক্ষন দাঁড়িয়ে সন্মান দিতেন না।

সীমান্ত : thank god. আপনি কথা বলতে পারেন। আচ্ছা আসুন গাড়িতে বসে কথা বলি, বৃষ্টির জন্য বাইরে দাঁড়ানো যাচ্ছে না।  তাছাড়া চারপাশে কোনো ছাউনি ও দেখছি না। 

এই কথা বলে গাড়ির দিকে গেলো সীমান্ত, কিন্তু মেয়েটি ইতস্তত বোধ করছে। 

সীমান্ত : কী হলো, আসুন।

এই বলে গাড়িতে ঢুকে ওপর সাইড এর দরজা টা  খুলে দিল, মেয়েটি ও কিছু না বলে গাড়ি তে বসলো।
সীমান্ত ড্রাইভিং সিট্ থেকে তোয়ালে টি তুলে মেয়েটির সামনে দিয়ে বললো-

সীমান্ত : সারা শরীর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মাথাটি পরিষ্কার করুন, নয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে।

মেয়ে : থ্যাংক ইউ। 

সীমান্ত: এইবার ঠিকানা বলুন। পৌঁছে দেই।  

মেয়ে : যেখান থেকে এসেছি, সেখানে যেতে চাই না। আর এখন কোথায় যাবো, কি করবো কিছুই জানি না। 

এই বলে কাঁদতে শুরু করলো মেয়েটি।

সীমান্ত : প্লিজ, কাঁদবেন না।  আপনাকে ডিপ্রেস লাগছে। কিছু মনে না করলে চলুন বাসায় যাই, সকাল হলে সব কিছু শোনা যাবে। আচ্ছা আপনার নামটা কি?

মেয়ে : নীলাঞ্জনা।  আর আপনার। 

সীমান্ত: সীমান্ত।  এই বলে গাড়িটি ইউ টার্ন করে ঢাকা র পথে সীমান্ত। -------------





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন