সীমান্তের নীলাঞ্জনা
পর্ব ২
বাড়ী ফেরা
দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ ড্রাইভ করে রাত ৪ টার সময় বাড়ির গেটে পৌঁছে গাড়ির হর্ন বাজাতেই পরেশ দা গেটে হাজির হয়ে তৎক্ষণাৎ গেট খুলে দিলো। গাড়ি বাড়ি তে ঢোকার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দৌড়ে গাড়ির পিছন থেকে এসে দরজা খুলতেই চোখ কপালে তুলে বললো
পরেশ : ও বাবু এটা কিগো? এ যে ফুলপরীর মতো দেখতে। এ কে কোথায় পেলে?
সীমান্ত : কথা কম বলে আগে একে ঘরে নিয়ে গেস্ট রুম শুয়ে এ নিয়ে যেতে সাহায্য করো। রাত অনেক হয়েছে সব কথা পরে শুনা যাবে।
পরেশ : একি বাবু উনার কাপড় তো ভেজা, শরীর ও গরম মনে হচ্ছে। কি করবো?
সীমান্ত : ঠিক আছে, তুমি আমার জন্য কফি করে নিয়ে এসো, দেখছি কি করা যায়।
সারা বাড়িতে কোনো মহিলা নেই, মাত্র দুইজন লোক পরেশ আর সীমান্ত। ওর জন্য এত রাতে কাপড় পাবে কোথায়, এই ভেবে নিজ ঘরে যেয়ে আলমারিটা খুললো সীমান্ত। আলমারি খুলতেই মায়ের শাড়ির দিকে চোখ পারে সীমান্তের। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে এই শাড়িটি এইভাবেই সাজানো ছিল, যখনই মায়ের কথা মনে হতো তখন এই শাড়িটিকে দেখতো। আজ এটা তাও আবার অপরিচিত কাউকে পড়তে দিতে হবে এটা মন মানতে চায় না। তার পরে ও মেয়েটির কথা ভেবে শাড়িটি বের করে গেস্ট রুম এ গেলো সীমান্ত। ততক্ষনে মেয়েটির ঘুম ও হালকা হয়ে এসেছে, তাই ঘরে ঢোকার শব্দেই তার ঘুম ভেঙে যায়____
নীলাঞ্জনা : আমি এখানে কেন?
সীমান্ত : কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাই আর ডাকিনি, ইটা আমার বাসা। শাড়িটা এখনো ভেজা, নিন এটা পাল্টে নিন। খুদা লাগলে টেবিল এ খাবার দেয়া আছে , খেয়ে শুয়ে পড়ুন। সকাল এ কথা হবে, বাই।
নীলাঞ্জনা : ধন্যবাদ।
এইবলে পরেশ এর থেকে কফির কাপটি নিয়ে বাগানে চলে গেলো সীমান্ত ---------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন